কীটনাশক খেলে কি হয় | কোন বিষ খেলে মানুষ মারা যায় | মানুষ মারার বিষ | what happens when you eat pesticides

এই কীটনাশক ঔষধগুলোর থাকে প্রফেনোফস এক ধরনের আগানোফসফেট, সাইপারমেথ্রিন এক ধরনের বাইরেথ্রয়েড আরো অন্য কিছু মিশ্রিত করে তৈরি হয় প্রাণঘাতী 1 সংশ্লিষ্ট মানুষ মারার জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশ দিনাজপুর জেলা লিচু খেয়ে যে 14 জন শিশু মারা গেছে তারা মূলত কীটনাশক বিষক্রিয়ার শিকার হয়েছে বলে চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন। অতিরিক্ত বিষ দেওয়ার কারনেলিচুর গায়ে বিষ লেগেছিল তাই খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে বিষ ধরে গেছিল এজন্য তারা মারা যায়।

অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করলে অনেক রকম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

কোন কীটনাশক খেলে মানুষ মারা যায়


অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের কারণে ফল বা সবজি বিষাক্ত হয়ে যায়। এগুলো যদি দপ্তরে পরামর্শ অনুযায়ী যথাযথ নিয়ম মেনে ছিটানো হয় তাহলে সেটি আর ফলে মেশে না। আবার ভোক্তাদের উচিত ফল বা সবজি খাবার আগে ভালো করে সেটি ধুয়ে নেওয়া ।এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষ এড়ানো যায় ।

বিষাক্ত কীটনাশক থেকে বাঁচতে কি সুখভোগ তাদের উভয়কে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার। এজন্য তারা কৃষকদের মধ্যে সচেতনা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে জানান। এ জাতীয় ঘটনা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সুযোগ কম। কারণ সরকার অনুমোদিত বিক্রেতা কীটনাশক বিক্রয় করে থাকেন। আবার কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষার জন্য বাধ্য হয়ে কীটনাশক ব্যবহার করেন। কখনো কখনো কৃষকদের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এ জাতীয় ঘটনা ঘটে। তাই সবারই উচিত কীটনাশক ব্যবহার করার আগে ভালো করে পরামর্শ নেয়া উচিত। বাংলাদেশের কয়েকটি এলাকায় লিচু চাষ করা হয় এদের মধ্যে হল পাবনা, দিনাজপুর, লিচু চাষ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের পাবনা এখনো এ রকম কোন ঘটনা ঘটে নাই। লিচু কীটনাশকের কারণে কোন ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েছে বা মারা গেছে এরকম কোনো ঘটনা নয়। কারণ তারা বিষ বিক্রেতা কাছ থেকে ভালোভাবে পরামর্শ নিয়ে বিষ দিয়ে থাকেন লিচুর গাছে। তারা কখনো পরামর্শ বাদে বিষ দেন না লিচু গাছে ।
কোন কীটনাশক খেলে মানুষ মারা যায়

হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমরা যে বিষয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি সেটি হল বেশি কীটনাশক ব্যবহার করলে কি কি ক্ষতি হবে। আমরা জানি কীটনাশক ব্যবহার করলে ক্ষতি ও ভালো দুটোই হয়ে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করলে সেটা বেশি পরিমাণে ক্ষতির দিকে চলে যায় উপকারের চেয়ে থেকে। এর ফলে জল, মাটি ও বায়ু দূষিত হয়। বহু উপকারী প্রাণী বিপন্ন হয়ে পড়ে। মানব স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।


বেশি কীটনাশক ব্যবহার করলে কী কী ক্ষতি হবে

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত মাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন কৃষিজ ও প্রাণিজ খাদ্যের মাধ্যমে কীটনাশক মানবদেহে প্রবেশ করার মাধ্যমে মানুষের হার্ট, কিডনি, ত্বক,লিভার, স্নায়ু, আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। নানাবিধ ফলমূল রাসায়নিক পাউডার দিয়ে কাঁচা ফল পাকানো হচ্ছে। এমন কি টমেটো পর্যন্ত রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় লাল টকটকে করে পাকানো হচ্ছে। মানব স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়। অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের কুফল স্বরূপ পৃথিবীর মানুষের মধ্যে আজকাল যেসব রোগ খুব বেশি দেখা যাচ্ছে সেগুলো হলো অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার কারণে। মানুষের যেসব ক্ষতি হচ্ছে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো

1/ নানা চর্মরোগ,

2/ কিডনির বৈকল্য,

3/ টিউমার,

4/ নানা ধরনের ক্যান্সার,

5/ লিউকেমিয়া,

6/ মহিলাদের স্তন ক্যান্সার,

7/ নানা স্নায়ু রোগ,

8/ হরমোনের ভারসাম্য ব্যাহত হওয়া,

9/ জন্মগত বিকলাঙ্গতা,ইত্যাদি

জৈব কীটনাশকের নাম

জৈব কীটনাশক এর মধ্যে সবচেয়ে উপকারী কীটনাশক হলো জৈব নিম কীটনাশক। এটি নিজের তৈরি করে নেওয়া যায়। এটি সম্পূর্ননয় জৈব কীটনাশক। এটি বানানোর জন্য তিতা নিমপাতার বেটে রস করে ব্যবহার করা হয়।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা, পর্যাপ্ত উপার্জন, ফসলের অধিক ফলন, এবং গুণগত মান বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োগের জন্য বিভিন্ন উপাদান রয়েছে। প্রকৃত অর্থে কৃষিতে রোগ প্রতিরোগ নিয়ন্ত্রণে একটি অন্যতম প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কীটনাশক। কিন্তু এটি জৈব কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে তা না হলে বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করলে অনেক রকমের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। কীটপতঙ্গ পরিচালনা কিসি শিল্পের একটি বড় অংশ কারণ কি পতঙ্গ সঠিকভাবে পরিচালনা করা এবং পরিমাণ না করলে দুটোই ক্ষতি হবে। কীটপতঙ্গ পরিচালনার ক্ষেত্রে রাসায়নিক পদ্ধতি ওপর দীর্ঘদিন ধরে কৃষকদের নির্ভরতা রয়েছে তবে বর্তমানে বিভিন্ন রাসায়নিকের পরিবর্তে কৃষিতে জায়গা দখল করে নিচ্ছে জৈব চাষ। কারণ কিছু রাসায়নিক কীটনাশকের প্রয়োগের ফলে রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ হওয়ার পরেও এগুলো ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে যার প্রতিক্রিয়াঃ পরবর্তীকালে দেখা যায়। আবাদভূমি এবং পরিবেশের ওপর এর অনেক প্রভাব পড়ছে। তাই সবাই এখন আর রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে জৈব কীটনাশক ব্যবহার করছে।

জৈব কীটনাশকের তৈরি করা ও তাদের নাম নিচে আলোচনা করা হলো

1/ নিম

প্রাচীন ভারতীয় নিমের তেল কে শক্তিশালী বালাই নাশক হিসেবে অভিহিত করে। নিম গাছের পাতাকে আকৃতি বালাই নাশক হিসাবে ব্যবহার করা যায়। 1 থেকে 2 আউশ উচ্চ গুনগতমান সম্পূর্ণ অর্গানিক নিম অয়েল আবার চামচ মৃদু অর্গানিক তরল সাবান হাত ধোয়ার লিকুইড হলেও চলবে। আধা গ্লাস পানি আস্তে আস্তে নাড়াচাড়া করতে হবে। কীটনাশক তৈরি পরপরই স্প্রে করতে হবে।

2/ লবণ স্প্রে

মাকড়সা আক্রান্ত গাছের রোগ দমনের জন্য দুই চামচ হিমালয়ের কৃষ্টাল এক গ্যালন উক্ত গরম পানিতে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে স্প্রে করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে মাকড়সা মানে কিছু ক্ষতিকর নয় মাকড়সা জাল বললে সেই জালে ক্ষতিকর পোকামাকড় আটকে যায়। ফলে মাকড়সা একটি প্রাকৃতিক কীটনাশক।

৩/ তামাক স্প্রে

তামাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু বালাই যেমন টেস্ট, ক্যাটারপিলার, শুঁয়োপোকা, জাব পোকা দমনের জন্য এটি একটি সাধারণ বালাইনাশক। 1 কাপ অর্গানিক তামাক ১ গ্লাস পানিতে মিশাতে হবে ।সারারাত মিশ্রণটি রেখে দিতে হবে। 24 ঘন্টা পরে হালকা বাদামী রং ধারণ করবে। বেশি কাল হলে আরো পানি যোগ করতে হবে । আলু টমেটো পরিবারের গাছে ছাড়া সব গাছে স্প্রে করা যাবে।

4/ রসুন, পেঁয়াজ ও অন্যান্য

এক কোয়া রসুন এবং একটি মাঝারি আকারের পেঁয়াজে সাথে চার ভাগের এক ভাগ গ্যালন পানি যোগ করে। এর পর এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। তারপর এক চামচ ছায়নিন পেপার এবং এক চামচ তরল সাবান যোগ করে। জৈব মেয়াদ সাত দিন থাকে। অবশ্যই ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে।

৫/তুলসী পাতা

প্রধান উপকরণ- পরিষ্কার পাত্র, পরিষ্কার বিশুদ্ধ পানি, তুলসী পাতা, সাবান, সাবানের গুড়া, তরল সাবান ।100 গ্রাম তুলসীপাতা ভালোভাবে বেটে পেস্ট করে একটি পরিষ্কার পাত্রে নিতে হবে। 4 লিটার পানি বাটা পেস্ট তুলসীপাতা ভালোভাবে মিশিয়ে 12 ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর দ্রবণতিকে ভালোভাবে ছেঁকে নিতে হবে। থাকার পর পাত্র দ্রবণের 5 গ্রাম গুড়া সাবান অথবা ৫ চামচ তরল সাবান যোগ করে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে প্রস্তুত করে নিতে হবে। এটি হলো তুলসী পাতার তৈরি কীটনাশক। এখনি এটি সাথে সাথে বাগানে এসপেরে করার জন্য প্রস্তুত ।

পরিবেশের উপর কীটনাশকের প্রভাব

পরিবেশের উপর কীটনাশকের প্রভাব দিন দিন বেড়ে চলেছে। কীটনাশক আকারে অপরীক্ষিত উচ্চমাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশক ফসলের জমিতে ব্যবহারের ফলে অল্পদিনের মধ্যেই মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একইভাবে কীটনাশকের বৃষ্টির পানি সঙ্গে মিশে নদ নদী ও জলাশয় পানি গুনাগুন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ইতিমধ্যে দেশের প্রজাতির মাছ ও পোকামাকড় অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে ও যাচ্ছে। প্রকৃতির ওপর এই কীটনাশকের প্রভাব পড়ার কারণে নানা রকম রোগ ব্যাধি, মাটি ও পানি দূষিত হয়ে যাচ্ছে। এতে প্রকৃতির ভারসাম্য হারাচ্ছে। প্রকৃতির নানা রকম দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে ।

আমি আশা করি যে আপনি পোস্ট পড়ে অনেক খুশি হয়েছে। আর আমরা আশা করি যে, আপনি যে বিষয় পড়তে চেয়েছেন সেই বিষয়টা অবশ্যই পেয়েছে। এরকম সকল তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে সবসময় প্রবেশ করবেন। আমাদের সাইডে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url